Sunday, November 16, 2014

ঢাকার রাস্তাঘাট

ঢাকা আমাদের রাজধানী। হাতে গুনা কিছু মানুষ ছাড়া কেউ ইচ্ছা করে ঢাকা শহরে বাস করতে আসে না। আমরা যারা এই শহরে আমাদের প্রিয় জন্মস্থান ছেঁড়ে এসেছি তাদের সবারই কোন না কোন জরুরী কারণ রয়েছে। কেউ এসেছি পড়াশুনা করতে, আবার কেউ এসেছি পেটের দায়ে। বড়দের কাছে শুনেছি ঢাকা নাকি অনেক সুন্দর একটি শহর ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি শুধু স্বপ্নই। আমাদের মত বাইরে থেকে আসা মানুষের কাছে ঢাকা শহর একটি অস্বস্তির জায়গা ছাড়া আর কিছুই না। তাই আমরা যখন ঢাকা ছেঁড়ে বাড়ি যাই তখন খুবই Excited থাকি। আর আমার কাছে এর জন্য প্রধান কারণ রাস্তাঘাট মনে হয়। উত্তরে ঢাকার প্রথম প্রান্ত আব্দুল্লাহপুর, আর দক্ষিণে ডেমরা। স্বাভাবিকভাবে যাত্রার সময় লাগার কথা সর্বচ্চ ৫০ মিঃ থেকে ১ ঘণ্টা, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘণ্টা, আর কপাল যদি খারাপ থাকে তাহলে তো কোন কথাই নাই। আর এর মূল কারণ ঢাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্তা, হয়তোবা এই নিয়ম করা সম্ভব না যে, কোন পরিবারে একটির বেশী ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু অনেক কারণ আছে যা সচেতনতার মাধ্যমে দূর করা যায়। আর এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পাড়ে আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ। তারা যদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করে তাহলে এই যাত্রা সময় অনেকটা কমানো সম্ভব।
ঢাকার রাস্তাগুলো লোকাল বাসের ড্রাইভারদের বাপের সম্পত্তি, পেছনে যাই হক না কেন তাদের যেখানে ইচ্ছা যাত্রী উঠাবে আর নামাবে, আর পাবলিক এর বকাঝকা এটি ওদের নিত্ত দিনের সঙ্গী। ওরা এগুলোকে আশীর্বাদ মনে করে। আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ ভাইয়েরা দর্শক।
আর মার্কেট এবং অফিসের সামনের রাস্তাগুলো আছে ধনীদের মালিকানায়, যদিও কাগজে কলমে নয়।তাহলে সরকার এর মালিকানায় ঢাকায় কোন রাস্তা নাই !!! হ্যাঁ আছে, বঙ্গভবন, গণভবন এবং সংসদ ভবনের আশপাশের কিছু রাস্তা যার নিয়ন্ত্রন সম্পূর্ণরুপে আমাদের পুলিশ ভাইদের হাতে। বাকিসব কথিত ব্যাক্তি মালিকানাধীন।
ঢাকার মানুষের সাথে পরিত্যাক্ত ময়লা আবর্জনার সাথে যে কোন তুলনা নেই তার প্রতীকী হচ্ছে রাস্তার Dustbin গুলা। এইসব এমন জায়গায় স্থাপন করা হয় যেইখানে মানুষের আনাগোনা বেশী। শুক্রাবাদ Bus-stand, আমরা যারা এই জায়গাটি চিনি তারা জানি এখানে প্রতিদিন কতলোকের আনাগোনা। একে একটি Bus-stand, তারপরও এখানে অবস্থিত দেশের প্রথম সারির একটি Privet University, নিঃসন্দেহেই এটি একটি গুরত্তপূর্ণ জায়গা।এমনকি এখানে অনেক খাবার দোকানও রয়েছে। এরকম রাস্তার বেশিরভাগ লোকালয়য়ে এরকম Dustbin গুলো চোখে পড়ে।
তাই আকুল আবেদন আমাদের হর্তাকর্তাদের কাছে দয়ে করে আমাদের নিয়ে একটু ভাবুন, এতে খুব বেশী উপকৃত না হতে পারলেও, খতিগ্রস্থ যে হবেন না এইটুকু অন্তত বলতে পাড়ি।

No comments:

Post a Comment